Header Ads

  • Breaking News

    সংস্কার নাকি নির্বাচন আগে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় নামার সমালোচনা করেছেন সারজিস আলম।

     


    ‎সংস্কার নাকি নির্বাচন আগে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় নামার সমালোচনা করেছেন সারজিস আলম। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস বলেন, সংস্কার নাকি নির্বাচন এই খেলা বাদ দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিযোগিতায় নামুন।


    ‎‎


    ‎শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।


    ‎‎


    ‎আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করার কারণ উল্লেখ করে তিনি সারজিস আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আট মাস পরেও আমাদের শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে বলতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার জন্য বিভিন্ন মহল বহির্বিশ্বে ইমেজ ক্ষুণ্ণ হওয়ার ভয় দেখায়। আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়। আমাদেরকে কারণ দেখানো হয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না আসলে ভারত নাকি কী মনে করে বসবে।




    ‎বিভিন্ন মহলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিগত ১৬ বিছরে যখন পিলখানায়, শাপলায়, শাহবাগে, যাত্রাবাড়িতে, উত্তরায় হত্যাকাণ্ড হয় হত্যাকাণ্ড তখন এই বহির্বিশ্ব কোথায় ছিল। যখন হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশুকে হত্যা করা হয় তখন পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল? যেই ভারত এতগুলো খুনের হুকুমকারী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে সেই হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। খাতা-কলমের সম্পর্ক আর জনগণের সম্পর্ক এক হতে পারে না। তারা যদি প্রতিবেশীর সম্পর্ক দেখতে চায় তাহলে যেসকল খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে হবে।




    ‎সারজিস আলম বলেন, ১০ মাস আগে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাকিয়ে থাকতো কখন স্যাংশন আসবে, আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে তারপর মাঠে নামবে৷ কিন্তু যেই ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে জীবন দিয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অন্য কিছুর নাম নেয়া এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখে মানায় না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এবং খুনি হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদে পিলখানা, শাপলা এবং জুলাই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার বিচার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে আর কিছু প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

    ‎‎

    ‎তিনি আরও বলেন, এ জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এ জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এ জেনারেশন সব ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে

    কোন মন্তব্য নেই

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad